গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এই সম্পর্কের উত্তেজনার প্রভাব সীমান্ত এলাকাতেও কিছুটা দৃশ্যমান হয়েছে। সম্প্রতি একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে, যাতে দাবি করা হয় বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের ৫ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তবে এ খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার এক বিবৃতিতে এ ধরনের খবরকে "ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন" বলে অভিহিত করা হয়েছে। তারা দাবি করেছে, সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে স্থাপিত আন্তর্জাতিক সীমানা ও রেফারেন্স পিলারের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার রাংঘাট গ্রামের সীমান্ত এলাকাটি স্পষ্টভাবে চিহ্নিত এবং কোদালিয়া নদীই আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে কাজ করে। বিএসএফ ও বিজিবি তাদের নিজ নিজ তীর ধরে নিয়মিত টহল দিয়ে আসছে। কোনো নতুন ভূখণ্ড দখলের ঘটনা ঘটেনি।"
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিজিবি সদস্যদের মোটরচালিত নৌকা এবং এটিভি ব্যবহার করে সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা টহলের খবরও অস্বীকার করেছে বিএসএফ। তাদের দাবি, এসব খবর "মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়।"
বিএসএফের বক্তব্য অনুযায়ী, ওই এলাকা চোরাচালান ও অনুপ্রবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কার্যকলাপ প্রতিরোধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার ফলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখন ন্যূনতম পর্যায়ে নেমে এসেছে।
বিএসএফের দাবি, "ভারতীয় ভূখণ্ডের এক ইঞ্চিও দখল হয়নি বা ভবিষ্যতেও হবে না।" তাদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ১৯৭৫ সালের ‘ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা’ অনুসারে দায়িত্ব পালন করছে এবং সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে।
বিএসএফ সতর্ক করে বলেছে, "ভূখণ্ড দখলের মিথ্যা ও বানোয়াট দাবিগুলো দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য প্রচারিত হতে পারে।"